নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৭ মে, ২০১৮
অশ্লীলতার খেতাব পেয়ে প্রায় ৫০০ চলচ্চিত্র বাংলাদেশে মুক্তি পেয়েছে। একটা সময় বছরে কমপক্ষে ৯০/১০০ সিনেমা মুক্তি পেলেও, সর্বোচ্চ দশটি সিনেমা এর থেকে মুক্ত থাকতো। তৎকালীন সময়ে দেশের প্রায় সব প্রডাকশন হাউজ এ ধরনের সিনেমা নির্মাণ করেছে। যার মধ্যে বিতরনের দিক থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে বলা যায় লাভা ভিডিওর নাম। সে সময়ে যারা সিডি কিংবা ভিসিআর দেখছেন। এ কম্পানির নাম নিশ্চয়ই ভুলেননি।
আমরা পলি, ময়ূরী, শাহিন আলম, ঝুমকাদের গালি দেই। কথা হলো তারা কি জোর করে করতেন? না। রুচিহীন দর্শকরা যেমন অশ্লীলতায় বুদ হয়ে থাকতেন। একশ্রেনী পরিচালক-প্রযোজক তাই জোর করে করাতো এসব দৃশ্য। শিল্পীরা টাকা বা টিকে থাকার জন্য করতেন। কখনো তাদের ব্লাকমেইল করা হতো। কারা এসব করাতো? যেসব প্রযোজক ও পরিচালকরা এসব করাতেন। তাঁরা আজ অনেকে গা ঢাকা দেয়া। অনেকে বুক ফুলিয়ে এখনো এফডিসিতে ঘুরেন।
যতদূর জানা যায়, পরিচালক এফ কবির অঞ্জু ঘোষকে নিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের দর্শকদের খোলামেলা দৃশ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। বৃষ্টিতে ভিজে গান। তাঁর হাত ধরেই অঞ্জু ঘোষের সিনেমায় আগমন ঘটে। তাঁর সঙ্গে বিবাহবন্ধনেও আবদ্ধ হন এ নায়িকা। তবে সে বিয়ে টিকেছিল মাত্র চার বছর। এফ কবির বেশ কিছু ভালো সিনেমাও নির্মাণ করেছেন। মূলত তিনি অশ্লীল যুগের নির্মাতা না। পরে আবুল খায়ের বুলবুল নব্বই দশক জুড়ে ছবিতে বিভিন্ন সময়ে অশ্লীলতার নামে গোসলের দৃশ্য দেখানো শুরু করলেন। স্বল্প বাজেটের এসব সিনেমাতে যৌনতা থাকার কারণে ব্যবসায়িক লাভও এসেছে।
মোহাম্মাদ হোসেন ‘অবুঝ দুটি মন’ ছবিতেও এই চর্চাটা চালিয়ে গেলেন। এই সিনেমায় প্রথম বাংলাদেশের কোন নায়িকাকে সুইমিং পুলে গোসলের দৃশ্য দেখানো হল। নায়িকা ছিলেন মডেল রথি। আবুল খায়ের বুলবুলের ‘অন্যায়-অত্যাচার’ ছবিতে পাহাড়ি ঝর্ণায় গোসলের দৃশ্যের ট্রেন্ড শুরু হল। মোহাম্মদ হোসেন পরে বানালেন ‘রাঙা বউ’। আমিন খান, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, হুমায়ূন ফরীদির সিনেমাটি ছিল অশ্লীলতা পূর্ণ।
এনায়েত করিমের ‘জননেতা’ ছবিতে প্রথমবার বাংলাদেশে সরাসরি উন্মুক্ত বক্ষ প্রদর্শন করা হল। কদম আলী মাস্তানও অশ্লীলতার দিক দিয়ে স্মার্ট। তাঁর ভয়াবহ ছবিতে বি-গ্রেডের নায়িকার আমদানি ঘটল। শরিফুদ্দিন খান দিপু বানিয়েছিলেন ‘বাঁচাও দেশ’, ‘পুলিশ অফিসার’র মতো অশ্লীল সিনেমা।
অশ্লীল যুগের সিনেমা বানাতেন মূলত এনায়েত করিম, মোহাম্মদ হোসেন (ফায়ার), শরিফুদ্দিন খান দিপু, স্বপন চৌধুরী, শাহাদাৎ হোসেন লিটন (কঠিন শাস্তি) বদিউল আলম খোকন (দানব), রাজু চৌধুরী, এম এ আউয়াল, পল্লী মালেক (ঢাকার কুতুব), এম বি মানিক (জাদরেল), শাহিন-সুমন (নষ্ট), মালেক আফসারী (মরণ কামড়, মৃত্যুর মুখে), মোস্তাফিজুর রহমান বাবু (স্পর্ধা), উত্তম আকাশ, এজে রানা, মনতাজুর রহমান আকবর, নাদিম মাহমুদ, রাকিবুল আলম রাকিব, নায়ক রুবেল সহআরো অনেকে। প্রযোজকদের মধ্যে খোরশেদ আলম খসরু, ডিপজলের বড় ভাই- বাদশা ভাই ছিলেন অশ্লীলতার অন্যতম হোতা। এদের মধ্যে অনেকেই এখন নিয়মিত সিনেমা নির্মাণ করছেন।
নব্বইয়ের দশকের ব্যাস্ত পরিচালক আবুল খায়ের বুলবুল। অসংখ্য সিনেমা নির্মাণ করেছেন। যার মধ্যে বেশ কিছু অশ্লীলতার দোষে দুষ্ট। বেশ কয়েকছর ধরে সিনেমা নির্মাণ করছেন না। ২০১৪ সালের পরিচালক সমিতিতেও তাঁর নাম ছিল।
এনায়েত করিম, প্রযোজক হিসেবে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ ঘটলেও পরবর্তীতে পরিচালনায় এসেছেন। তার প্রযোজনা সংস্থার নাম সজনী ফিল্মস ইন্টারন্যাশনাল। তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক সমিতির সহ-সভাপতি ও সহকারী-সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র সাথে যুক্ত ছিলেন। ২০১৪ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
মোহাম্মদ হোসেন সর্বশেষ ‘আই ডোন্ট কেয়ার (২০১৪)’ নির্মাণ করেছিলেন। সে সিনেমাটিতে ববি অভিনয় করেছেন। যার পোস্টার থেকে শুরু করে সিনেমাটিও অশ্লীলতায় অভিযুক্ত হয়েছে।
শাহাদাৎ হোসেন লিটন বর্তমানে দাড়ি রেখে গাড়ির ব্যাবসা করছে। লিটনের ৫২ টি সিনেমার মধ্যে ২৩ টি সিনেমার নায়ক শাকিব খান। সর্বশেষ শাহাদাৎ হোসেন লিটন পরিচালিত ‘অহংকার’ ছবি মুক্তি পায় গেল বছর। ওই ছবির নায়কও ছিলেন শাকিব। ছবিটি খুব একটা ব্যবসা সফলতার মুখ দেখেনি।
বদিউল আলম খোকনের কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। তিনি বুক ফুলিয়ে এফডিসিতে আছেন। পরিচালক রাজু চৌধুরি এখনো সিনেমা নির্মাণ করছেন। পল্লী মালেক অনেকদিন ধরে সিনেমা নির্মাণ করছেন না। চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতিতে আছেন তিনি। শাহিন-সুমনও নিয়মিত সিনেমা বানাচ্ছেন।
যত দোষ নন্দঘোষের। আমরা যাদের পর্দায় দেখেছি তাদের প্রত্যাখ্যান করেছি। কিন্তু যারা পেছনে কাজ করেছে তারা কিন্তু এখনো সিনেমায় আছেন। কখনো কি তারা এই অপকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন? না।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জনপ্রিয়তার দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় মার্কিন অভিনেতা
ও চলচ্চিত্র প্রযোজক ব্র্যাড পিটকেও পেছনে ফেলে দিয়েছেন বলিউডের বাদশাহ শাহরুখ খান।
নিজের দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও জনপ্রিয়তার শিখরে তিনি।
বলিউড বাদশাহ তখন বার্লিনে, সিনেমার শুটিং চলছে পুরোদমে। সেই সময়
শাহরুখের জন্মদিন উপলক্ষ্যে ইউরোপ থেকে কাতারে কাতারে মানুষ এসেছেন, প্রিয় নায়ককে এক
পলক দেখার আশায়। শুটিংয়ের জন্য ১ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। ব্যারিকেডের
বাইরে পোস্টার হাতে অভিনেতাকে শুভেচ্ছা জানান অনুরাগীরা। অভিনেতাও প্রায় এক ঘণ্টা সময়
দিয়েছিলেন তাদের। শাহরুখের নজিরবিহীন স্টারডম!
সহ-অভিনেতা আলি খান ছিলেন শুটিং ফ্লোরে। তার কথায়, ‘আমরা বার্লিনে
যে হোটেলে ছিলাম, কিছু দিন আগে ব্র্যাড পিট এবং কুয়েন্টিন ট্যারেন্টিনো সেই হোটেলেই
ছিলেন। বার্লিনে তাদেরও একটি সিনেমার শুটিং চলছিল সেই সময়। তাদের ইউনিটের সদস্যরাই
আমাদের সিনেমাতে ছিলেন। তাদের মুখে শুনলাম, শাহরুখের জন্মদিনে এত মানুষ ঢল, এর আগে
কোনও শুটিংয়ে এত ভিড় দেখা যায়নি। এমনকি ব্র্যাড পিট যখন ছিলেন তখনও এত মানুষের দেখা
মেলেনি।
‘অ্যা মাইটি হার্ট’ সিনেমাতে অ্যাঞ্জেলিনার সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন
আলি খান। প্রয়াত অভিনেতা ইরফান খানও ছিলেন সেই সিনেমায়। সেই সিনেমার প্রযোজক ছিলেন
ব্র্যাড পিট। মুম্বাইয়ের একটি বিলাসবহুল হোটেলে পার্টির আয়োজন করা হয়।
এ প্রসঙ্গে আলি বলেন, ‘সিনেমার সেটের বাইরে অ্যাঞ্জেলিনা একেবারেই সাধারণ মানুষের মতো। আমি, আমার স্ত্রী আর অ্যাঞ্জেলিনা অনেক গল্প করলাম পার্টিতে। বিশেষত আমার স্ত্রীর সঙ্গে সন্তানের পরিচর্যা, তাদের খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয় কথা বলেছিলেন অ্যাঞ্জেলিনা।’
ব্র্যাড পিট জনপ্রিয়তা শাহরুখ খান বলিউড
মন্তব্য করুন
ঢাকাই সিনেমার কিং খান শাকিবের বিয়ের
গুঞ্জন চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। বুবলী আর অপু বিশ্বাসকে নিয়ে বিরক্ত শাকিব খানের পরিবার।
শাকিবকে নিয়ে দুই নায়িকার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে কথাবার্তা-গল্পগুজব আর নিতে
পারছেন না অভিনেতা এবং তার পরিবার। শুধু তাই নয়, শাকিবকে বিয়ে দেওয়ার জন্য চলছে পাত্রী
দেখাও।
অভিনেতার ঘনিষ্ঠজনেরা বলেছেন, ঢাকার পাশের জেলায় পাত্রী দেখছে শাকিবের পরিবার। এবার আর নিজের পছন্দে নয়, পরিবারের পছন্দেই বিয়ে করবেন অভিনেতা। অতীত ভুলে সংসারী হবেন শাকিব।
আরও পড়ুন: এবার জায়েদ খানের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন সাকিব
আরও পড়ুন: ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে তাহসান-ফারিণের গান
অর্থাৎ বুবলীর সঙ্গে যদি শাকিবের সত্যি বিয়ে হয়ে থাকে, তাহলে এবার তৃতীয় দফায় বিয়ের
পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন অভিনেতা। শোনা যাচ্ছে, চিকিৎসক পাত্রী পছন্দ করেছে তাঁর পরিবার।
শাকিবের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, ঢাকার
পার্শ্ববর্তী মুন্সিগঞ্জজেলার একটি মেয়েকে শাকিবের বউ হিসেবে প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত
করেছে তার পরিবার। মেয়ে যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করে দেশে ফিরেছেন।
শাকিবেরও ডাক্তার মেয়ে পছন্দ।
একাধিক সূত্রে জানাগেছে, এ পর্যন্ত
দুই থেকে তিনজন পাত্রীকে দেখেছে শাকিবের পরিবার। এর মধ্যে মুন্সিগঞ্জের চিকিৎসক মেয়েই
নাকি এগিয়ে আছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষ দিকে ধুমধাম করে বিয়ের পিঁড়িতে
বসবেন শাকিব খান। আর এই আয়োজনের পুরো দায়িত্ব নিচ্ছে শাকিবের পরিবার।
শুধু তা–ই নয়, শাকিবকে নিয়ে কেউ কোনো
মিথ্যাচার করলেই আইনের আশ্রয় নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে শাকিব খানের পরিবার। পাশাপাশি
জানা গেছে, শাকিবের বাড়িতে অপু-বুবলীর প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যদিও জবাবে
বুবলী বলেছেন, ছেলে বীরকে একা ছাড়বেন না তিনি। এই কথা প্রসঙ্গে অপুও বলেছেন, ‘তিনি
গেলে আমিও যাব।’
শাকিব খান ঢালিউড অপু বিশ্বাস বুবলী
মন্তব্য করুন
কমেডি কিং কপিল শর্মার 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো' এর পারিশ্রমিক নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ এইটটিন।
এখন পর্যন্ত নেটফ্লিক্সে এই শোয়ের মোট পাঁচটি পর্ব প্রচারিত হয়েছে। আর এই পাঁচ পর্বের জন্য প্রায় ২৬ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন কপিল শর্মা। অর্থাৎ পর্ব প্রতি পারিশ্রমিক ৫ কোটি টাকারও বেশি।
শুধু কপিলই নয়, সামনে এসেছে তার সহকর্মী অর্চনা পূরণ সিং এবং সুনীল গ্রোভারের পারিশ্রমিকের কথাও।
ভারতীয় গণমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুনীল গ্রোভার প্রতি পর্বের জন্য প্রায় ২৫ লাখ ও অর্চনা পূরণ সিং নিচ্ছেন ১০ লাখ টাকা। এছাড়া ক্রুষ্ণা অভিষেক, কিকু শারদা ও রাজীব ঠাকুর পর্ব প্রতি নিচ্ছেন যথাক্রমে ১০ লাখ, ৭ লাখ এবং ৬ লাখ টাকা করে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতের টিভি অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো'র রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। গত ৩০ মার্চ থেকে নেটফ্লিক্সে শুরু হয়েছে এই শোয়ের প্রচার কার্যক্রম। এখন পর্যন্ত প্রচারিত হয়েছে মোট পাঁচটি পর্ব।
মন্তব্য করুন
চলচ্চিত্রে নানা সংকট ও বিদ্যমান সমস্যা নিয়ে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে
সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’-শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র, বিনোদন
ও সাংস্কৃতিক সাংবাদিকদের ৫৬ বছরের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি
(বাচসাস)।
বৃহস্পতিবার (০২ মে) শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার
কক্ষে (৭ম তলা) বাচসাস সভাপতি রাজু আলীমের সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথি
ছিলেন—ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, বিশেষ অতিথি ভার্সেটাইল
মিডিয়ার কর্ণধার প্রযোজক আরশাদ আদনান, সূচনা বক্তব্য রাখেন বাচসাস সাধারণ সম্পাদক
রিমন মাহফুজ।
গোলটেবিল বৈঠকে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ প্রবন্ধ
উপস্থাপনা করেন বাচসাস সদস্য ও বাংলাদেশ সম্পাদক ফোমের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন।
এসময় ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেন,
‘চলচ্চিত্র শুরু থেকে শিল্পীদের সঙ্গে সাংবাদিকেরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সাংবাদিক বন্ধুরা
ছাড়া আমরা সম্পন্ন না। ৫৬ বছর আপনারা যেভাবে সম্মান দিয়েছেন আগামীতেও দেবেন আশা করি।
বর্তমানে অল্প কিছু সিনেমা হলে সিনেমা মুক্তি পায়। সেখানে একজন প্রযোজক সিনেমা থেকে
খুবই সামান্য টাকা পায়।
এ অবস্থায় আমরা যদি টাক্সের টাকাটা কমানোর জন্য সর্বসম্মতিক্রমে
জাতীয় সংসদে তুলে ধরতে পারি তাহলে আমাদের এই শিল্পের জন্য বড় সমস্যার সমাধান হবে। আমাদের
এই শিল্পের অনেক সমস্যা রয়েছে, এগুলোর সমাধানও আছে। এই সমস্যার সমাধানে নিজেদেরই এগিয়ে
আসতে হবে। ভালো ভালো সিনেমা বানাতে হবে। জাতির পিতার হাতে গড়া এই এফডিসির জন্য প্রধানমন্ত্রীর
অগাত ভালোবাসা রয়েছে। আমরা এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে সংসদে এই শিল্পের উন্নয়নে করণীয়
নিয়ে কথা বলব’।
ভার্সেটাইল মিডিয়ার কর্ণধার আরশাদ আদনান বলেন, ‘এই সাবজেক্ট নিয়ে
আমরাও কাজ করছিলাম। ধন্যবাদ জানাই বাচসাসকে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। বিষয়টি
নিয়ে আমরা কাজ করব। বাচসাসকে সঙ্গে নিয়েই সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করব। অনেক দিন
ধরেই প্রযোজক সমিতি প্রশাসকের হাতে। প্রযোজক সমিতির সমস্যা যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করব।
প্রযোজক বাঁচলে চলচ্চিত্র বাঁচবে। আশা করছি, অচিরেই এ সংসট নিরসন হবে’।
চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিইও আলিমুল্লাহ
খোকন বলেন, ‘চলচ্চিত্রের জন্য সিঙ্গেল স্ক্রিনের বিকল্প নেই। যে হলগুলো আছে তা আধুনিক
করতে হবে। চলচ্চিত্র সম্পর্কে যাদের জানা শোনা আছে অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের গুরুত্ব
দিতে হবে’।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন
উজ্জ্বল বলেন, ‘হল মালিকরা দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্র শিল্প বাঁচাতে ভূমিকা রাখছে। ঈদের
সিনেমা ছাড়া বছরজুড়ে হল মালিকদের লোকসান গুনতে হয়। তারপরও তারা শিল্পটির সঙ্গে জড়িয়ে
আছে। সিনেমা হলগুলো আধুনিক করার চেষ্টা চলছে। ভালো সিনেমা নির্মাণ হলে পুনরায় এ শিল্প
ঘুরে দাঁড়াবে। তার প্রমাণ ‘প্রিয়তমা’।’
এসময় শিল্পী সমিতির সহসভাপতি ও চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব বলেন, ‘সরকারি
অনুদান সঠিক মানুষদের দিতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদান দিলে চলচ্চিত্র
আরও এগিয়ে যাবে’।
বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল বলেন, ‘অনুদান
চলচ্চিত্র ধ্বংসের জন্য দায়ী। এটা দ্রুত বন্ধ করা উচিত। কারণ, সঠিক লোক অনুদান পায়
না। তাছাড়া অনুদানের টাকা দিয়ে অনেকেই গাড়ি কেনে। অনুদানের টাকা দিয়ে সিনেমা না বানিয়ে
বিয়ে করেছে এমনও প্রমাণ রয়েছে। অনুদানের টাকা কখনো যথাযথ ব্যবহার হয় না। তাই অনুদান
বন্ধ করে দেওয়াই ভালো’।
শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য-চিত্রনায়িকা রোজিনা বলেন, ‘চলচ্চিত্র
শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায় নিয়ে বারবার বৈঠক করতে হবে। সমস্যাগুলো বের করে সমাধানের
চেষ্টা করতে হবে। সেন্সরে বোর্ডে দায়িত্ব থাকার কারণে অনেক সিনেমা দেখতে হয়। এমন কিছু
সিনেমা আছে যেগুলো হলের উপযোগী না। সেগুলোও হলে মুক্তি পায়। এসব সিনেমা দর্শকের হলবিমুখ
করে। চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদানে
গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলেই আমাদের এ শিল্প আরও এগিয়ে যাবে’।
এসময় আরও উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেন ‘বাচসাস’ সাবেক সভাপতি রেজানুর
রহমান, শিল্পী সমিতির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক
জ্যাকি আলমগীর, কার্যনির্বাহী সদস্য রোজিনা, চুন্নু, নানা শাহ, শাহনূর, চলচ্চিত্র পরিচালক
সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন, চিত্র সম্পাদক আবু মুসা দেবু, ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ
সম্পাদক এস এম কামরুজ্জামান সাগর, চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমান, মুক্তি, চলচ্চিত্র পরিচালক
এস এ হক অলিক, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, অরুণ চৌধুরী, সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান ডায়মন্ড,
গাজী মাহবুব, চয়নিকা চৌধুরী, বুলবুল বিশ্বাস, মাসুমা তানি ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক
সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত দাস, উপদেষ্টা সদস্য ইউনুস রুবেল প্রমুখ।
আরও উপস্থিত ছিলেন বাচসাস’র সহসভাপতি অনজন রহমান ও রাশেদ রাইন,
অর্থ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম মিলন, সমাজ কল্যাণ
ও মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আনজুমান আরা শিল্পী, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ইরানি বিশ্বাস,
দপ্তর সম্পাদক আহমেদ তেপান্তর (আওয়াল), নির্বাহী সদস্য লিটন রহমান, রুহুল আমিন ভূঁইয়া,
আনিসুল হক রাশেদ, রুহুল সাখাওয়াত প্রমুখ।
উপস্থিত সবাই সিনেপ্লেক্স ও সিনেমা হল বাড়ানোর জোর দাবি জানায়।
তারা মনে করেন সিনেমা হল বাড়লে সংকট অনেকটাই নিরসন হবে। সেইসঙ্গে ভালো গল্পের দিকেও
নজর দেয়ার অনুরোধ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সৈয়দা ফারজানা জামান রুম্পা।
‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ গোলটেবিল বৈঠক
মন্তব্য করুন
কমেডি কিং কপিল শর্মার 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো' এর পারিশ্রমিক নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ এইটটিন। এখন পর্যন্ত নেটফ্লিক্সে এই শোয়ের মোট পাঁচটি পর্ব প্রচারিত হয়েছে। আর এই পাঁচ পর্বের জন্য প্রায় ২৬ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন কপিল শর্মা। অর্থাৎ পর্ব প্রতি পারিশ্রমিক ৫ কোটি টাকারও বেশি।